পুরভোটে জয়ী তিন নির্দল কাউন্সিলরকে দলে না নেওয়ার কড়া বার্তা

Share:

কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর : গণনা কেন্দ্রে জয়ের শংসাপত্র হাতে নিয়েই তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিন নির্দল পার্ষদদের। কিন্তু তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে তাঁদের ভোটের লড়াইকে ভাল চোখে দেখনি দল। আর তাই ওই পার্ষদদের ইচ্ছা থাকলেও তৃণমূল তাঁদের জন্য দলের দরজা খুলতে চান না। এ ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বর্ষীয়ান নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তনিমা চ্যাটার্জী-সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে কলকাতার পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সচিদানন্দ এবং তনিমা পরাজিত হলেও, জয় পান তিন জন।

নির্দল প্রার্থী হিসেবে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আয়েশা কনিজ, ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে রুবিনা নাজ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্বাশা নস্কর জয়ী হন। এঁরা দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হন। ভোটে জয় পেয়েই তাঁরা দলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। কিন্তু, তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এখনই তাঁদের দলে নেওয়া যাবে না। তাই জয়ী ওই নির্দল পার্ষদদের বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র নিবাস দলের বৈঠক ডাকা হয়নি।

ওই বৈঠকেই কলকাতার পরবর্তী মেয়রের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্ষদদের এই বৈঠকে ডাক না পেয়ে নির্বাচিত নির্দল কাউন্সিলররা বুঝে গিয়েছেন, দলে প্রত্যাবর্তনের রাস্তা অত সহজ নয়। ২০১৫ সালের পুরভোটেও তিন জন নির্দল পার্ষদ জয় পেয়েছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী হারিয়েই জয় পেয়েছিলেন তাঁরা। কলকাতা বন্দর বিধানসভার অন্তর্গত ৮০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছিলেন আনোয়ার খান। হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী হেমা রামকে। জয় পাওয়ার দিনেই তাঁকে দলে যোগদান করেন স্থানীয় বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। পরে আরও দু’জন নির্দল কাউন্সিলরকেও দলে নিয়েছিল তৃণমূল।


Share: