ফের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত

Share:

গঙ্গা ‘অনু ‘

কলকাতা, ৯ মার্চ : কয়েকমাস পর বুধবারে ফের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত হল কলকাতায়। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ডাঃ সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেম হয় দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেহদান সঙ্গে যুক্ত সংস্থা গণদর্পণ দীর্ঘ দিন দাবী জানিয়ে আসছিল যে কোনও রোগে মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেমকে বাধ্যতামূলক করা হোক। কিন্তু এই দাবী গুরুত্ব পায়নি। দূর্ঘটনাজনিত বা অস্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হলে ময়নাতদন্ত বাধ্যতামূলক। যদিও সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত অর্থাৎ প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেম বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু সাধারণ রোগ বা কোন বিশেষ রোগে কারো মৃত্যু হলে মৃতে পরিবারের সদস্য বা যদি চায় মৃতের রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত অর্থাৎ প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেম হোক, তখন স্বাস্থ্য দফতর সেই অনুমতি দেয়। আমরা এই নিয়ে প্রচার চালিয়েছি।সোমবার বালীগঞ্জের জামির লেনের বাসিন্দা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান। যার পরিচিতি ছিল জনদা হিসেবে। দেবব্রতবাবু পরিবারে ঘনিষ্ঠ অমিতাভ সিনহা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা সুচেতনা ব্যানার্জী’র অনুরোধে গণদর্পণের সাথে যোগাযোগ করেন এবং প্যাথলজিকাল পোস্টমর্টেম করার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। গণদর্পণ সেইমত ব্যবস্থা করে। গতকাল দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পার্টির সদস্য ছিলেন দেবব্রতবাবু। তিনি রাজনীতি এবং নাট্য শিল্প এই দুইর অবলম্বনে বেঁচেছেন ৭৪ বছরের জীবন। এবার শুধুমাত্র লোকের প্রিয় জন দা লোকের স্মৃতিতে কবিতায়, গানে এবং নাটকে বেঁচে থাকবেন না বরং রাজ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দৃষ্টান্তের জন্য আমাদের সকলের মনে বেঁচে থাকবেন।


Share: