ফের হোয়াটসঅ্যাপ ‘বিদ্রোহ’, এ বার গ্রুপ ছাড়লেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ

Share:

গঙ্গা ‘ অনু ‘

শিলিগুড়ি, ১৮ এপ্রিল : বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক গত কয়েক দিন ধরে চলছে। তাতে যোগ দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। বিধায়ক তো বটেই, তিনি শিলিগুড়ির বিজেপি সংগঠন দেখার দায়িত্বেও রয়েছেন। বিজেপির পর্যবেক্ষকদের নিয়ে তৈরি সেই শঙ্কর ঘোষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন।এই বিষয়ে সোমবার শুরু হয়েছে জোর শোরগোল জেলার রাজনৈতিক মহলে। এ নিয়ে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, ‘অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছে।’ এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতানৈক্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তার পর তাঁর সংযোজন, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে বিশ্বাসী নন।বিধানসভা ভোটের আগে তিনি সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে ভোটে হারিয়ে বিধায়ক হন। সে সময় জেলা ও রাজ্য বিজেপি-র একাধিক হোয়াটসঅ্যাগ গ্রুপে যোগ করা হয় তাঁকে। তার মধ্যে একটি গ্রুপ ছেড়ে যান বিজেপি বিধায়ক। রাজ্য বিজেপি তে চলা অশান্তির গত কয়েকদিন ধরে প্রেক্ষিতে এই ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে শঙ্করবাবুর দাবি, ‘‘আমাদের বহু গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়। কর্মসূত্রে আরও কিছু গ্রুপে অ্যাড (যুক্ত) হতে হয়। তবে এমন কিছু অবাঞ্ছিত গ্রুপে থাকার ফলে মূল খবর বা ইনফরমেশন চোখের আড়াল হয়ে যায়। কাজেই সেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া (ভাল)। অন্য কোনও কারণ নেই এর পিছনে। দলের বাকি গ্রুপগুলোতে আমি রয়েছি।”বিজেপি বিধায়ক আরো জানিয়েছেন যে তিনি আগেও বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে কাউকে বার্তা দেওয়ার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কোনও রকম বিতর্কে না গিয়ে তিনি সোজা উত্তর দিলেও, রাজ্য বিজেপি সূত্রে অনুসারে, এই মুহূর্তে কলকাতায় উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং নেতা। তাঁদের অনেকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন দল পরিচালনা নিয়ে। সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ।তিনি বিধায়ক হয়েও দলের নানা বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন বলে শঙ্করবাবুর অভিযোগ করেছেন। তাঁরই দলের নেতাদের একাংশ তাঁকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। এই ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।


Share: