কুচবিহারে মমতা ব্যানার্জীর ওপর হামলা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
পশ্চিম বাংলায় আজ মঙ্গলবার ৬ই এপ্রিল বিধান সভা নির্বাচনের তৃতীয় চরণের মতদান হয়েছে ।অন্য দিকে প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আজ কুচবিহারে নির্বাচনী সভা কে সম্বোধিত করলেন ।প্রধান মত্রী বললেন বিজেপির ঢেউ বইছে। দুই বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে রেলিতে বাধার সৃষ্টি করেছিল , আজ টিএমসিই কোথাও দেখা যাচ্ছে না ।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতা ব্যানার্জীর ওপর হামলা করলেন এবং বললেন যেদিন নির্বাচন কমিশন দু বার নির্বাচন করিয়ে আপনাকে মূখ্য মন্ত্রী বানালো , আজ সেই নির্বাচন কমিশনের থেকে আপনার অসুবিধা হচ্ছে , এতেই বোঝা যাচ্ছে যে আপনি ভোটে হেরে গিয়েছেন।উনি এও বললেন , সাধারণত আপনি নির্বাচন কমিশন কে গালাগালি দেন , কিন্তূ আমি যদি বলতাম যে সব হিন্দুরা একত্র হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও , তাহলে নির্বাচন কমিশনের ৮-১০টা নোটিস পেয়ে যেতাম ।
প্রধান মন্ত্রী দিদির উপর মন্তব্য করলেন , প্রত্যেক দিন আপনাকে বলতে হয় আপনি নন্দী গ্রাম জিতছেন। কিন্তূ যে দিন আপনি নন্দীগ্রামে খেলা করলেন , যা কিছু বললেন , সেইদিন সমস্ত দেশ মেনে নিলো যে আপনি হেরে গিয়েছেন। এর জন্য ভগবানকে জিজ্ঞেস করার কোনো দরকার নেই ।
ইভিএমের ওপর প্রশ্ন তোলায় প্রধান মন্ত্রী বললেন যে ইভিএম বাম শাসন কে সরিয়ে আপনাকে আস্তে সাহায্য করলো, ইভিএম মেশিন বাংলার মানুষের ইচ্ছাকে সম্মতি জানায় , প্রত্যেকটি নাগরিকের ইচ্ছে ইভিএমে বন্দি হয় যায়। আজ আপনার সেই ইভিএম নিয়েও সমস্যা হচ্ছে ।কিন্তূ এখানে শান্তিপূর্ণ মত্দান হচ্ছে , আর আপনি খুব বিরক্ত , একটুকুও গর্ব করতে পারছেন না ,তাতে বোঝা যায় যে আপনি ভোটে হারছেন ।
আপনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী , শান্তিপূর্ণ ভাবে দুই চরনের মত্দান হয় গেছে । প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।আমিও গুজরাতের মূখ্য মন্ত্রী ছিলাম ,এতোটা ভোটিং যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে হতো তাহলে আমি গর্বের সঙ্গে বলতাম অতোটা বেশি মত্দান শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে।
প্রধান মন্ত্রী বললেন বিজেপির রেলিতে ভারী সংখায় লোক আসছে ,মা – বোনেরা আসছেন , কিন্তূ দিদি বলছেন আমরা পয়সা দিয়ে তাঁদের নিয়ে আসি ।বাংলার সৎ নাগরিকদের ওপর দিদির এই গম্ভীর আরোপ বলে দিচ্ছে যে উনি নির্বাচনে হেরে গেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন পশ্চিম বাংলায় ডবল ইনজনের সরকারের অভাবে কত সমস্যা হয় তা কুচ বিহারের থেকে ভালো কে বুঝতে পারবে।এখানে স্বাস্থ্য সুবিধার অভাব ,কিন্তূ দিদির তাতে তফাৎ পড়ে না। দিদিতো কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য যোজনায় বাধা দেন।আমার বোনেদের অনেকটা সময় জলের ব্যবস্থা করতে লেগে যায় , নোংরা জল খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায় ।
কিন্তূ দিদি কি করেছেন ? কেন্দ্র সরকার প্রত্যেকটা বাড়িতে পাইপ দিয়ে জল পৌঁছোবার একটি খুব বড়ো যোজনা সুমস্ত দেশে শুরু করেছে ।
প্রধান মন্ত্রী বললেন এখুন অবধি সমস্ত দেশে ৪ কোটির থেকে বেশি পরিবারদের কলের কানেকশন দেবা হয়ে গেছে ।কিন্তূ পশ্চিম বাংলায় কল দিয়ে জল আনবার জণ্য পাঠানো হয়েছিল , যে কোটি কোটি টাকা ,সেটা দিদির আলমারিতে রয়ে গেছে ।নারায়ণী সেনা ব্যাটালিয়ান কে নিয়ে টিএমসিই যে ধারণাটা ছড়াচ্ছে , সেটি ২ মেয়ের পরে দূর হয়ে যাবে ।আরো কিছু দিনের ব্যাপার ,আর তুষ্টিকরণ এবং ভেদাভেদ নয় , এবার সবার সাথ – সবার বিকাশ – সবার বিশ্বাস।